Skip to content

কিভাবে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যায়? কি কি কাগজ প্রয়োজন?

কিভাবে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যায়? আমরা ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কাজ করে থাকি। অনেক সময় তা আমাদের সাধ্যের মধ্যে এবং অনেক সময় সাধ্যের বাহিরে হয়ে থাকে। সেজন্য আমাদের প্রয়োজন পরে লোন নেওয়া। সর্বদা আপন মানুষদের কাছ থেকে লোন পাওয়া যায় না. সে জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়. আসুন জেনে নেই।

ব্যাংক লোন বা ঋণ কয়েক প্রকার হয়ে থাকে।

  • ব্যবসা ঋণ
  • হোম ঋণ
  • বিবাহ ঋণ
  • পার্সোনাল ঋণ
  • স্টুডেন্ট ঋণ
  • কৃষি ঋণ
  • প্রবাসী ঋণ
  • কার ঋণ

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

ব্যবসা ঋণ– একটি যেকোনো ব্যবসার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। যদি ব্যবসা চলমান থাকে

হোম ঋণ– বাড়ি বা ফ্লাট ক্রয় অথবা নির্মাণের জন্য এ ঋণ প্রদান করা হয়।

বিবাহ ঋণ– বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক এ ঋণ দিচ্ছে। বিশেষ করে প্রাইম ব্যাংক।

পার্সোনাল ঋণ– এ ঋণ যে কোনো পেশার মানুষকে মাসিক আয়ের বিপরীতে প্রদান করে থাকে।

স্টুডেন্ট ঋণ– বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো সরাসরি স্টুডেন্টদের ঋণ না দিলেও অভিবাবকদের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের প্রদান করে থাকে।

কৃষি ঋণ– কৃষকদের প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য এ ঋণ প্রদান করে থাকে।

প্রবাসী ঋণ– প্রবাসীদের দেশের বাহিরে যাওয়ার জন্য ভিসা থাকলে এ ঋণ দিয়ে থাকেন।

কার ঋণ – গাড়ি কেনার জন্য এ রিন্ প্রদান করা হয়.

ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার শর্তসমূহে যা জানাতে হবে

১.কেন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে
২. আগের কোনো ঋণ আছে কিনা
৩. ব্যবসা বা চাকরিতে কত বছরের অভিজ্ঞতা আছে
৪. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে
৫. ব্যক্তির ফিনান্সিয়াল তথ্য দিত হবে
৬. কেন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে তা জানাতে হবে
৭. ক্রেডিট কার্ড কোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে থাকলে তার স্কোর জানাতে হবে

ইন্টারেস্ট রেট

এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি যদি এমন ব্যাংক থেকে ঋণ নেন যেখানে ইন্টারেস্ট রেট বেশি সেক্ষেত্রে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক গুলো প্রায় ৯% ইন্টারেস্ট নিয়ে থাকেন। তবে কোনো ব্যাংক ৭% কিংবা ৮% ইন্টারেস্ট রেট নিয়ে থাকেন। ঋণ নেওয়ার আগে বিষয়টি জেনে নিবেন।

ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?

১. আবদেন ফর্ম পূরণ করতে হবে সাক্ষর সহ
২. জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
৩. সেলারি সার্টিফিকেটে
৪. যেকোনো বিলের কপি
৫. ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন অনুলিপি
৬. পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স
৭. ব্যাংক স্টেটমেন্ট

ঋণ পরিশোদের সময়কাল

ঋণ পরিশোদের মেয়াদকাল যেমন ১ থেকে ২ বছর হতে পারে তেমনি ২ থেকে ৫ বছর ও হতে পারে আবার ৫ থেকে ১০ বছর ও হতে পারে। এটি নির্ভর করবে গ্রাহকের উপর এবং সে যে খাতে ঋণ নিবে তার উপর। টাকা অব্যশই মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে.

সুদবিহীন ঋণ কিভাবে পেতে পারি?

বাংলাদেশের প্রায় ৯০% মানুষ মুসলমান। তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ চায় সুদবিহীন ঋণ গ্রহণ করতে। বাংলাদেশে ১৬ টি ব্যাংক আছে যারা ইসলামী শরিয়া মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অন্য যে সকল ব্যাংক আছে তাদের থেকে ঋণ নিলে তারা টাকা দিয়ে থাকে কিন্তু এই ১৬ টি ব্যাংক আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে দিবে।

ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা

সুবিধা
আপনার প্রয়োজনে আপনি নিতে পারবেন। আপনার ব্যবসা কিংবা প্রয়োজন মেটাতে পারবেন। বর্তমানে ব্যাংকের ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় বেশ সহজ। আশা করা যায় যখন ২০২৪ সালে ডিজিটাল ব্যাংক চলে আসবে তখন লেনদেন এবং ঋণ নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।

অসুবিধা
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সঠিক সময়ে ঋণ দিতে না পারলে চওড়া সুদ দিতে হয়. অনেক সময় পরিশোধ করতে না পারলে আইন গত ব্যবস্থা নিতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়, আপনার একান্ত অর্থাৎ খুবই গুরুতূপূর্ণ প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। অব্যশই আগে থেকে সমস্ত বিষয় জেনে নিতে হবে.

2 thoughts on “কিভাবে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যায়? কি কি কাগজ প্রয়োজন?”

  1. আমি লেবার বিদেশ ফেরত আমার কিছু টাকা হলে আমি বেবশা করে জিবনটা সচল করিতে পারব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *