Skip to content

রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয় | রোটা ভাইরাস টিকা দেওয়ার নিয়ম

রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়। আমাদের প্রত্যেকের ঘরে অন্তত একটা শিশু থাকে আর তাদের খুশিতে যেমন পরিবার হাসে ঠিক তেমনি তাদের অসুস্তায় পরিবারে দূংখ নেমে আসে। শিশুরা বর্তমান সময়ে যে সকল রোগে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে তার মধ্য অন্যতম হলো রোটা ভাইরাস বা রোটা ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া। রোটা ভাইরাস শিশুদের জন্য একটি হুমকির বিষয়। 

এই ভাইরাস থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হলে মা বাবা এবং পরিবারের সবার সতর্ক থাকা প্রয়োজন ও তার পাশাপাশি রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয় তা জানতে হবে এবং সঠিক নিয়মে রোটা ভাইরাস টিকা দিতে হবে। তাই আজকে আমরা রোটা ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি এই পোষ্ট পুরপুরি পড়ার পর রোটা ভাইরাস সম্পর্কে আপনাদের ভালো একটা ধারনা হবে আর ঠিক সময়ে সঠিক প্রদক্ষেপ নিতে পারবেন।

 

বাংলাদেশে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে শীতকালে, রোটা ভাইরাস ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। আর ২ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্য আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করে, 

এটা বিশেষ করে শীতকালে বেশী আক্রমন করে থাকে এবং শিশুদের খুব তারাতারি দূর্বল করে ফেলে, সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুও যেতে পারে।

রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয় রোটা ভাইরাস টিকা দেওয়ার নিয়ম

আজকে আমরা যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলো…
রোটা ভাইরাস কি, কিভাবে আক্রান্ত হয়, রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়, রোটা ভাইরাস টিকা দেওয়ার নিয়ম, রোটা ভাইরাস চিকিৎসা,কখন হসপিটালে ভর্তি করতে হবে, রোটা ভাইরাস টিকার দাম কত।

সময় দিয়ে পড়ুন আপনার শিশুকে রোটা ভাইরাস থেকে বাছাতে অব্যশই কাজে লাগবে।

রোটা ভাইরাস কি | রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়

রোটা ভাইরাস মূলত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা খুব বেশি শক্তিশালি নয়। এই ভাইরাসটি বড়দের আক্রান্ত করেছে এই দৃষ্ট্রান্ত খুব কম তবে ছোট শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে এই ভাইরাস শিশুদের বেশি আক্রান্ত করে থাকে, যার ফলে দেখা দেয় পাতলা পায়খানা কিংবা ডায়রিয়া এবং বমি।

কিভাবে আক্রান্ত হয় | রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়

রোটা ভাইরাস মূলত করোনা ভাইরাসের মতই, যা একজন মানুষের থেকে অন্য মানুষের মধ্য খুব সহজে যে কোন কিছুর সংস্পর্সের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও ভয়াবহ কারণ শিশুরা ভিবিন্ন জিনিস নিয়ে খেলা করে থাকে যার কোন কিছুর মধ্যে বিন্ধু মাত্র ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। 

আরেকটি বিশেষ কারণ হলো অপরিচ্ছন্ন খাবার এবং পানি যার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া পেটে গিয়ে ভাইরাস সৃষ্ঠি করতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ বাচ্ছাদের সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখা এবং খাবারের মধ্যে যেন ব্যাকটেরিয়া না থাকে সে বিষয়টি নিশ্চত করা। তার সাথে বড়দেরও সব সময় পরিস্কার থাকা এবং নিরাপধ খাবার খাওয়া উচিৎ।

রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়

শিশু জন্ম গ্রহনের পর থেকে ৬ মাসের মধ্য রোটা ভাইরাস টিকা দিতে হয়। তবে জন্মের পর ৬ সপ্তাহের মধ্য রোটা ভাইরাস টিকা নেওয়া যাবেনা। প্রথম টিকা নেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় টিকা দিতে হবে। 

আমরা অনেকেই রোটা ভাইরাস টিকা সমপর্কে জানিনা, তাই আমরা নিজের অজান্তেই আমাদের শিশুদের বিপদের মূখে ফেলে দেই। আমাদের সবার উচিৎ এই বিষয়ে সাবধান হওয়া, 

আমরা যারা রোটা ভাইরাস টিকা সম্পর্কে জানি তারা কোন গাফলাতি না করে টিকা নেওয়া উচিৎ এবং যারা জানেন না তাদের জানিয়ে দেওয়া এবং এই বিষয়ে সাবধান করা উচিৎ।

রোটা ভাইরাস টিকা দেওয়ার নিয়ম

রোটা ভাইরাস হলে বাচ্ছা খুব তারাতারি দূ্বল হয়ে পড়ে এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে, তবে খুশির খবর হচ্ছে বর্তমানে রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। 

রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন দুই ধরনের হয় তা হলো – রোটা টেক ও রোটা রিক্স। রোটা টেক নামের ভ্যাকসিন ৩ ডোস নিতে হয় এবং রোটা রিক্স নামের ভ্যাকসিন ২ ডোস নিতে হয়। এর মধ্য থেকে যে কোন একটি টিকা নিলে বাচ্ছাদের রোটা ভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখা যাবে।

 

রোটা ভাইরাস চিকিৎসা

রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হলে সবচেয়ে উপকারি যে চিকিৎসা তা হলো অরাল স্যালাইন। ১ বছরের কম বয়সি শিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানা হবার পর ৯০ থেকে ১৪০ মিলি স্যালাইনের পানি দিন। 

স্যালাইন আপনার বাচ্ছার পানি শূন্যতা পূরন করার পাশাপাশি ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি দিবে। রোটা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য স্বাধারনত কোন ধরনের এন্টিবায়টিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়না।

কারণ এন্টিবায়টিক ঔষধ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের জন্য ব্যবহার করা হয়, রোটা ভাইরাস জনিত রোগের জন্য নয়।

 

কখন হসপিটালে ভর্তি করতে হবে 

যখন দেখবেন আপনার বাচ্ছার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে তখন দেরি না করে হসপিটালে নিয়ে যান।

পানি শূন্যতা হয়েছে বুঝার উপায় 

বাচ্ছা যদি চটপট করে, কান্না করার পরও চোখ দিয়ে পানি বের না হয়, প্রসাব না হওয়া কিংবা অস্বাভাবিক ভাবে কম যাওয়া, দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরে থাকার পরও তা শুকনো থাকা, দূর্বল হয়ে পরা, ঠোট শুকিয়ে যাওয়া, বেশি ঘুম পাওয়া বা আগের তুলনায় বেশি ঘুমানো, চোখ মূখে ক্লান্তি দেখতে পাওয়া। 

এই সকল বিষয়ের মধ্য থেকে যে কোন একটি আপনার শিশুর শরীলে দেখা দিলে বুঝবেন পানি শূন্যতা হয়েছে। ঘরে বসে না থেকে যত ধ্রুত সম্ভব  হাসপাতালে অথবা চিকিৎকের কাছে নিয়ে যান। 

রোটা ভাইরাস টিকার দাম কত

রোটা টেক নামের ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের মূল্য স্বাধারনত ১৬০০ টাকা হয়ে থাকে। আপনার এলাকায় দাম কম বেশি হতে পারে। রোটা টেক ভ্যাকসিন ৩ ডোজ নিতে হয়।

রোটা রিক্স নামের ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের মূল্য ১৮০০ টাকা হয়ে থাকে। আপনার এলাকায় এটার দাম কম বেশি হতে পারে। রোটা রিক্স ভ্যাকসিন ২ ডোজ নিতে হয়।

মনে রাখবেন রোটা রিক্স কিংবা রোটা টেক কোন ভ্যাকসিন ৬ মাসের কম বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবেনা।

রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়রোটা ভাইরাস টিকা কখন দিতে হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *