বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাংক গুলোর মধ্যে একটি কৃষি। তাই আজকে আমরা কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম নিয়ে কথা বলব। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য। এই আর্টিকেল-এ আমরা কৃষি ব্যাংকের সবধরনের লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। সাথেই থাকুন।
আরও পড়ুন…ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
প্রথমেই বলে নেই আমরা এই আর্টিকেল-এ কোন নির্দারিত লোন (অর্থাৎ যেমন বাড়ি করার জন্য হোম লোন বা পার্সোনাল লোন) নিয়ে আলোচনা করবনা।
কারণ কৃষি ব্যাংক তাদের ঋণ সেবাকে ৩টি বাগে বাগ করেছে এবং একি বিভাগের মধ্যে থাকা সবগুলো লোনের নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সুদের হার সবকিছুই একরকম।
আরও পড়ুন… গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন
আর এজন্যই আমরা লোনের বিভাগ নিয়ে লিখেছি। ঋণের কাগজপত্র সম্পর্কে আলাদা লিখা হয়েছে এবং পরবর্তী ধাপ-এ প্রতিটা বিভাগের মধ্যে লোনের খ্যাত এবং সুদের হার নিয়ে নিয়ে লিখা হয়েছে।
আমার পরামর্শ থাকবে আপনরা পর্যায়ক্রমে এই রকম পড়ুন তাহলে ভালো ভাবে বুঝতে পরবেন।
লোন পাওয়ার যোগ্যতা | কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
যে কোন ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আবেদনকারীর একটা মিনিমাম যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন হয় কৃষি ব্যাংকের ক্ষেত্রেও সেটা বেতিক্রম নয়। তবে কৃষি ব্যাংক কৃষকদের কৃষি খ্যাঁতে ঋণ দিতে বেশি আগ্রহি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে।
- কৃষি কাজে সরাসরি জরিত আছেন এমন প্রকৃত কৃষক ঋণ নিতে পারবেন।
- আপনি যদি আগে কখনো কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন আর সেই ঋণ সময় মত পরিসুদ না করেন তাহলে আপনাকে ঋণ পাবার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হবেনা। অর্থাৎ আপনাকে দ্বিতীয়বার ঋণ দেওয়া হবেনা।
- অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হতে হবে।
- সঠিক খ্যাঁতে ঋণ ব্যাবহারের পাশাপাশি ঋণ পরিশুদের ক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ ঋণ পরিশুদ করার জন্য যতেষ্ট পরিমান আয় থাকা লাগবে।
- কোন দেউলিয়া ব্যক্তিকে ঋণ প্রধানের জন্য বিবেচনা করা হবেনা।
- কোন উম্মাদ বা অর্ধপাগল ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া হবেনা।
কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি | কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
কৃষি ব্যাংক তাদের সকল লোন সেবাকে বাগ করেছে ৩টি বিভাগে। সেগুলো হলোঃ-
১. স্বল্প মেয়াদী ঋণ
২. মধ্যম মেয়াদী ঋণ
৩. দির্ঘ মেয়াদী ঋণ
এই ৩টি বিভাগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে ঋণের খ্যাঁত এবং ঋণের সময়কাল-এ। তবে এর বাহিরে আরও কয়েকটি ঋণের ধরন রয়েছে।
শুদু মাত্র শস্য খাঁতে ঋণের জন্য মাত্র ৪ থেকে ৫ টি কাজগপত্র লাগবে। অর্থাৎ কৃষি ব্যাংক শস্য খাঁতে ঋণ প্রধানের জন্য বেশি কাগজপত্র চাইবেনা এবং খুব সহজে প্রধান করবে।
পর্যায়ক্রমে ৩টি বিভাগের ঋণের খ্যাঁত, সময়কাল এবং সুদের হার নিয়ে আলাদা ভাবে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অনুগ্রহ করে আপনার ঋণের খ্যাঁত মিলিয়ে নিন এবং সে অনুযায়ী বিস্ত্রারিত পড়ুন। তার আগে দেখে নিন শস্য খ্যাঁত এবং অন্যান্য খাঁতে কি কি কাগজপত্র লাগবে।
শস্য ঋণের জন্য প্রয়েজনীয় কাগজপত্র
- ভোতার আইডি কার্ড ফটোকপি।
- আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- নাগরিকত্ব সনদপত্র বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
- শস্য খাঁতে ঋণ প্রধানের জন্য কোন প্রকার দলিল প্রয়ো
মেয়াদি ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্বল্প মেয়াদী ঋণ, মধ্যম মেয়াদী ঋণ এবং দির্ঘ মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে যে কাগজপত্র লাগবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
১. ভোতার আইডি কার্ড ফটোকপি।
২. আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩. নাগরিকত্ব সনদপত্র বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
৪. জমির খাতিয়ান-এর ফটোকপি।
৫. খাজনা পরিশুদের রশিদ সহ মূল দলিল।
৬. আপনার জমি নিলামের মাধ্যমে কিনা হলে খাজনার দাখিলাদহ বিক্রয় কারী ও দখল প্রদানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
৭. উত্তরাধিকারী সূত্রে মালিক হয়ে থাকলে মূল খাতিয়ানের কপিসমূহ প্রয়োজন হবে।
৮. আপনার শম্পত্তি যদি ক্রয় করা হয়ে থাকে তাহলে মূল দলিল, ভায়া দলিল, খারিজ খাতিয়ান, হালসানের খাজনার দাখিলা এবং মৌজা ম্যাপের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
৯. ইজারার মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জন করা হলে খাজনার দাখিলাসহ দাতার মূল দলিল এবং হেবাপত্র/দানপত্র লাগবে।
স্বল্প মেয়াদী ঋণের খ্যাঁত সমূহ ও সুদের হার
স্বল্প মেয়াদী ঋণের খ্যাঁত সমূহের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে শস্য খ্যাঁত।
আপনার যদি শস্য খ্যাঁতের জন্য ১৮ মাস বা ১ বছর মেয়াদী ঋণ প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি এই ঋণ খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
খ্যাঁত সমূহওঃ রোপা আমন (ধান), বোরো (ধান), গম, আখ, আলু, বাদাম/সরিষা, আউশ/বোনা আমন, ডাল/শীতকালীন শাকসবজি, ভুট্টা, পাট, তিল/গ্রীষ্মকালীন শাক সবজী, আদা/কচু, তুলা, চিংড়ি চাষ, মৎস্যচাষ, রেণু উৎপাদন , লবণ চাষ , একুয়াকালচার, শস্যগুদাম ও বাজারজাতকরণ, কলাচাষ ও বিবিধ।
স্বল্প মেয়াদী ঋণঃ এই ঋণ সর্বোচ্ছ ১৮ মাসের জন্য প্রধান করা হয়। এই ঋণের প্রায় সবকিছুই হলো শস্য খ্যাঁত তাই এই ঋণ খুব সহজে পাওয়া যায়। মাত্র ৪ থেকে ৫ টা সাধারণ কাজগপত্র দিয়েই এই ঋণ নিতে পারবেন, কোন প্রকার দলিলের প্রয়োজন হবেনা। এই সকল খ্যাঁতে ৮% সুদ দিতে হয়।
মধ্যম মেয়াদী ঋণের খ্যাত সমূহ ও সুদের হার
- হালের বলদ/গ্রামীন যানবাহন।
- ফল ও অন্যান্য অর্থকরী ফসলের বাগান/পানবরজ/মিশ্র খামার।
- রেশম চাষ।
- স্বনির্ভর ঋণ কর্মসূচী/শিক্ষিত বেকার যুবক উন্নয়ন কর্মসূচী।
- সেচ যন্ত্রপাতি।
- পুকুরে মৎস্য চাষ।
- চিংড়ি চাষ (প্রকল্প আকারে)।
- সামুদ্রিক মৎস্য চাষ।
- আর্থ-সামাজিক কার্যাবল-আইফাদ আর, এফ, পি/স্বনির্ভর ঋণ কর্মসূচী।
- কৃষি যন্ত্রপাতি/খামার যন্ত্রপাতি।
- গাভী পালন/হাঁস-মুরগী পালন/ছাগল পালন/গরু মোটাতাজাকরণ/হাঁসের খামার।
- কুটির শিল্প/তাঁত শিল্প/পল্লী বিদ্যুতায়ন।
মধ্যম মেয়াদী ঋণের খ্যাত গুলোর জন্য প্রয়োজন হবে অনেক কাগজপত্রের যা ইতিমধ্যে উপরে বলা হয়েছে। মধ্যম মেয়াদী ঋণ সর্বোচ্ছ ৫ বছরের মধ্যে পরিসুদ করতে হয়। এবং এই সকল খ্যাঁতে ঋণের সুদ ৯%, তবে যে সকল ঋণ শস্য খ্যাঁতের মধ্যে পরে সেগুলোর ক্ষেত্রে সুদ ৮%।
দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের খ্যাত সমূহ ও সুদের হার
- দুগ্ধ খামার।
- গবাদী পশুর খামার।
- হাঁস-মুরগী পালন/খামার।
- মৎস্য খামার।
- ফলের বাগান।
- ছোট আকারের কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন।
- চা বাগান উন্নয়ন
- রাবার চাষ
- প্রকল্প ঋণ
এই ঋণ পরিশোধের সময় সীমা ৫ বৎসরের উর্ধ্বে নির্ধারণ করা হয় যাহা সাধারনত প্রকল্পের আয় এবং গেস্টশন সময়ের উপর ভিত্তি করে র্নিধারণ করা হয়। এবং এই সকল খ্যাঁতে ঋণের সুদ ৯%, তবে যে সকল ঋণ শস্য খ্যাঁতের মধ্যে পরে সেগুলোর ক্ষেত্রে সুদ ৮%।
উপসংহার
কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম – এই আর্টিকেল-এ আমরা কৃষি ব্যাংকের কোন নির্দারিত লোন নিয়ে আলোচনা করিনি, কারণ নির্দারিত লোনের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র লাগবে এবং নিয়ম দুটোই মধ্যম মেয়াদী ঋণ এবং দির্গ মেয়াদী ঋণের মধ্যে রয়েছে।
যদি আমরা কোন নির্দারিত লোন পদ্ধতি নিয়ে এখানে আলোচনা না করে থাকি তাহলেও কোন সমস্যা নেই আপনি যে লোন নেন না কেন আপনার এই সকল কাগজপত্রই প্রয়োজন হবে যা আমরা (মেয়াদি ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) এই অংশে তুলে ধরেছি।
এবং আপনি কৃষি ব্যাংকের যে কোন লোনের ক্ষেত্রে ৯% সুদ দিতে হয়। এখন আপনি যে কোন ঋণ নেন আপনাকে এই ৯% সুদই পরিশুদ করতে হবে।
Hfm
Hi
আমি লোন নিতে চাই
Aslamualaikum…. ami krisi bengk theke 100000 tk lon nite cai….
100000 tk.. Taka nite gele amar ki ki kagoj lsgbe janaile khub khusi hotam